বাকৃবিতে স্মার্ট কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

উদীয়মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে স্মার্ট কৃষির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন দেশি-বিদেশি গবেষক ও শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, কৃষির আধুনিকায়ন এবং দক্ষ কৃষিবিদ গড়তে স্মার্ট কৃষির কোনো বিকল্প নেই—এমনটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে।

সাম্প্রতিক এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্মার্ট কৃষি অনুশীলনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন’। আয়োজক ছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্টুডেন্টস ইন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (IAAS), বাংলাদেশ শাখা।

সারা দিনব্যাপী আয়োজনে দেশি-বিদেশি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ১৯টি বৈজ্ঞানিক পোস্টার উপস্থাপন করেন। স্মার্ট কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্টার তৈরি ও উপস্থাপন করেন। প্রযুক্তিনির্ভর এই কৃষিতে ব্যবহৃত হয় ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), সেন্সর, লোকেশন সিস্টেম, অটোমেশন, রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)—যা কৃষিকে করে তুলছে আরও টেকসই, উৎপাদনমুখী ও পরিবেশবান্ধব।

প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচকবৃন্দ

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম জুলফিকার রহমান। তিনি স্মার্ট কৃষির গুরুত্ব, বাস্তব প্রয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ বলেন,“সমুদ্র পৃথিবী থেকে নির্গত প্রায় ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। শিল্প ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসে ৬৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড; কৃষি খাত থেকেও আসে প্রায় ২০ শতাংশ।”

অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন,“অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ। একটি গাছ দৈনিক গড়ে ৪৫ পাউন্ড কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে।”

আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন, এই সম্মেলন স্মার্ট কৃষি চর্চা এবং জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।


Discover more from কৃষি প্রতিদিন

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

মতামত দিন