বাংলাদেশসহ এশিয়ায় টেকসই ধান চাষে এডিবির উদ্যোগ

জলবায়ু-সহনশীল ও স্বল্প কার্বন নির্গমন প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান উৎপাদন বাড়াতে ADB ও CGIAR-এর যৌথ কর্মসূচি।

নিউজ প্রতিবেদন

বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ধানচাষে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রসারে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)। ‘Consultative Group on International Agricultural Research (CGIAR)’-এর সঙ্গে যৌথভাবে তারা শুরু করেছে একটি নতুন কর্মসূচি, যার আওতায় কৃষকদের জলবায়ু-সহনশীল, উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প নির্গমন প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা দেওয়া হবে।

ADB-এর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৯ জুন) এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা জানানো হয়।

কার্যক্রম চালু প্রথম ধাপে ৫ দেশ

প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে:

  • বাংলাদেশ
  • পাকিস্তান
  • ফিলিপাইন
  • কম্বোডিয়া
  • চীন

এই প্রকল্পে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।

কৃষি, পরিবেশ ও জীবিকায় একযোগে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা

প্রকল্পের লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, পানি ব্যবহারের দক্ষতা, এবং গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস নিশ্চিত করা। ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এই উদ্যোগে সর্বোচ্চ ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে ADB।

“চাল শুধু খাদ্য নয়, কোটি কৃষকের জীবিকার প্রধান উৎস। কিন্তু জলবায়ু সংকট এবং পানি সংকট ধানচাষকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই প্রকল্পে আমরা টেকসই প্রযুক্তি ও বাজার সংযোগ উন্নয়নের মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।” — ফাতিমা ইয়াসমিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, এডিবি

CGIAR কী বলছে?

CGIAR হচ্ছে একটি বৈশ্বিক গবেষণা অংশীদারিত্ব যা খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য হ্রাস এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে কাজ করে। তাদের প্রধান লক্ষ্য জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটানো।

“ADB ও গেটস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়তা করবে। এতে করে কোটি কোটি কৃষকের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।” — ইয়ভোন পিন্টো, মহাপরিচালক, IRRI

মতামত দিন