গাছের জন্য ৮ সহজ জৈব সার: ঘরেই বানিয়ে নিন সেরা পুষ্টি

গাছ সুস্থ, সবুজ আর ফলনশীল রাখতে পুষ্টি অপরিহার্য। বাজারের দামি রাসায়নিক সারের বদলে রান্নাঘরের উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যকর জৈব সার। এতে খরচ কমবে, গাছও থাকবে সতেজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া ৮টি জৈব সারের সহজ রেসিপি—

১. কলার খোসা:পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস কলার খোসা। এগুলো কেটে কয়েকদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি গাছের গোড়ায় দিন। ফুল ও ফল ধরার হার বাড়বে।

২. কফির গুঁড়া:ব্যবহৃত কফির গুঁড়ায় রয়েছে প্রচুর নাইট্রোজেন, যা পাতার সবুজভাব ও গাছের বৃদ্ধি বাড়ায়। সরাসরি মাটিতে মিশিয়ে বা কম্পোস্টে ব্যবহার করুন।

৩. ডিমের খোসা: ডিমের খোসা গাছকে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে, কোষ শক্তিশালী করে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। খোসা ধুয়ে শুকিয়ে গুঁড়া করে মাটিতে মিশিয়ে দিন।

৪. ইপসম লবণ: ম্যাগনেশিয়াম ও সালফারে সমৃদ্ধ ইপসম লবণ ফটোসিন্থেসিস ও পুষ্টি শোষণে সহায়ক। এক লিটার পানিতে এক চা চামচ মিশিয়ে মাসে একবার গাছে দিন।

৫. রান্নার পানির পুনঃব্যবহার: ডাল, চাল বা সবজি সেদ্ধ করার পানি ঠান্ডা করে গাছে দিন। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রাকৃতিক তরল সার হিসেবে কাজ করবে।

৬. সবজি বা ফলের খোসা:সবজি বা ফলের খোসা পচিয়ে কম্পোস্ট বানান। এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল গাছকে শক্তি জোগাবে।

৭. চাল ধোয়া পানি: চাল ধোয়ার পানিতে থাকা ভিটামিন বি ও খনিজ উপাদান মাটির গঠন উন্নত করে ও গাছকে সতেজ রাখে।

৮. চা পাতা: ব্যবহৃত চা পাতায় আছে ট্যানিন ও নাইট্রোজেন, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। ঠান্ডা চা পাতা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন।

 


Discover more from কৃষি প্রতিদিন

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

মতামত দিন