ভূমি জোনিং ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্তের পথে।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি জমিতে অননুমোদিত হাউজিং নির্মাণে শাস্তির বিধান আসছে। জেল ও জরিমানার বিধান থাকছে ‘ভূমি জোনিং ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ।
কৃষি জমি সুরক্ষায় নতুন আইন
কোনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বা ব্যক্তি কৃষি জমিতে অননুমোদিতভাবে হাউজিং এস্টেট তৈরি করলে জেল ও জরিমানার মুখে পড়তে হবে। এ বিধান রেখে ‘ভূমি জোনিং ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই খসড়ার চূড়ান্ত রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়।
কৃষি জমি কমছে উদ্বেগজনক হারে
কর্মশালায় জানানো হয়, দ্রুত বাড়তে থাকা জনসংখ্যা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে কৃষিজমি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে।
বর্তমানে—
- ৫৯.৭% জমি কৃষি জমি
- ১৭.৪% বনভূমি
- ২০% জলাভূমি
এ বাস্তবতায় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি জমি রক্ষা ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
লঙ্ঘনকারীদের জন্য কঠোর শাস্তি
নতুন আইনে বলা হয়েছে—
- অনুমোদন ছাড়া কৃষি জমিতে হাউজিং এস্টেট নির্মাণ করা যাবে না।
- রিসোর্ট, ক্লাব, এনজিও বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও নির্ধারিত সীমার বেশি কৃষি জমি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে না।
- আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভূমি জোনিংয়ের গুরুত্ব
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেন, “ভূমি জোনিংয়ের মাধ্যমে কৃষিজমি সংরক্ষণ করা গেলে খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আবাসিক এলাকা চিহ্নিত করা, প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি জমি সংরক্ষণ অপরিহার্য।
কর্মশালায় কারা ছিলেন
সভায় কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
Discover more from কৃষি প্রতিদিন
Subscribe to get the latest posts sent to your email.