পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় পদক্ষেপ। টক্সিনযুক্ত পাতার কারণে মাটি বিষাক্ত করে ফেলে এই দুই গাছ, হুমকির মুখে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ১৫ মে, বৃহস্পতিবার বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব বনায়নের লক্ষ্যে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার রক্ষায় আগ্রাসী প্রজাতির গাছের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির গাছ রোপণে গুরুত্ব দিচ্ছে।
কেন নিষিদ্ধ করা হলো ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি?
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই দুই প্রজাতির গাছ মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি শোষণ করে, যার ফলে মাটির আর্দ্রতা কমে যায় এবং অন্যান্য উদ্ভিদ বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ নষ্ট হয়।
এছাড়া এই গাছের পাতায় থাকা বিষাক্ত টক্সিন মাটিতে পড়ে মাটিকে দূষিত করে তোলে। ফলে আশপাশে অন্য গাছ জন্মাতে পারে না এবং পাখি ও পোকামাকড় এই গাছে বসবাস করতে চায় না — যা জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
নতুন নির্দেশনা কী বলছে?
সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এখন থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আগ্রাসী প্রজাতির গাছ বাদ দিয়ে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বনের প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই ধরনের সচেতন বনায়ন জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।
উল্লেখযোগ্য দিক:
- ইউক্যালিপটাস গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ ছাড়া এটি রোপণ করা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
- আকাশমনি গাছও একইভাবে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে দেয়।
- বিকল্প হিসেবে শিমুল, হিজল, গাব, জাম, আমলকি, বেল, অর্জুন, বট, পাকুড় প্রভৃতি দেশীয় গাছ রোপণের আহ্বান জানানো হয়েছে।